gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
করোনায় যেখানে মাত্র ১ জনের মৃত্যু
প্রকাশ : রবিবার, ৯ মে , ২০২১, ০৭:৩৭:৫১ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
1620567522.jpg
বিশ্বের প্রতিটি জনপদেই থাবা বসিয়েছে করোনা। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন প্রাণ। আক্রান্ত হচ্ছে লাখে লাখে। ইউরোপ আমেরিকার পর করোনার ভয়ংকর ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। দেশটিতে শ্মশানে লাশ সারি দিয়ে রাখা হয়েছে শবদাহের জন্য। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভুটানে আজ পর্যন্ত মারা গিয়েছেন মাত্র একজন! বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, চলতি বছরের জানুয়ারির ৭ তারিখে লিভার ও কিডনিসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে রাজধানী থিম্পুর এক হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৪ বছর বয়সি এক যুবক। টেস্টে তার কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। কয়েক দিন লড়াই শেষে করোনাতেই প্রাণ হারান ওই যুবক। ভুটানের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে, এটিই দেশটিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু এবং এখন পর্যন্ত এটাই শেষ মৃত্যু। কোভিড মানচিত্রে অন্যতম বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে উজ্জ্বল থাকল ভুটান। ভারতে যেখানে দৈনিক ৪ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে ভুটানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১। ছোট্ট দেশ ভুটান মূলত পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তারা কী ভাবে করোনাকে রুখে দিল, তা জানতে উৎসুক খোদ আমেরিকাও। অবশ্য শুধু ভুটান নয়, জানা গিয়েছে ভিয়েতনাম, রাওয়ান্ডা, সেনেগালের মতো দেশও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে করোনা সংক্রমণ।বিশেষজ্ঞদের দাবি, জনস্বাস্থ্যে বিশেষ জোর দেওয়ার কারণেই ভুটানে করোনা তেমন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতে পারেনি। ভুটানে রয়েছেন ৩৩৭ জন চিকিৎসক, ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু এই সংখ্যা দিয়েই করোনার যুদ্ধে নিজেদের সফল রেখেছে ভুটান। এর পিছনে দেশটির সুষ্ঠু প্রশাসনিক পরিকল্পনাও রয়েছে। ভুটানে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু ২০২০ এর ১৫ জানুয়ারি থেকে। এরপর থেকে আক্রান্তদের এবং তাদের সংস্পর্শে আসা মানুষজনকে চিহ্নিত করে পরীক্ষা শুরু হয়, পাঠানা হয় নিভৃতবাসেও। ভুটানে চালু হয় ১৪-২১ দিনের কোয়রান্টিনের নিয়ম। এতে সামান্যতম সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিপুল হারে পরীক্ষাও শুরু করে ভুটান। এমন সব পরিকল্পনাই এগিয়ে দিয়েছে ভুটানকে। সূত্র: জিনিউজ।

আরও খবর

🔝