gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
ভাঙচুর-তাণ্ডব চালালেও হেফাজতের বিচার হবে না : আহলে সুন্নাত
প্রকাশ : রবিবার, ৪ এপ্রিল , ২০২১, ০৭:২৮:৩৩ পিএম
মুহাম্মদ দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ::
1617543062.jpg
থানা ও বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চালানোর পরেও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিচার হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশ এর নেতারা। রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এফ রহমান হলে ইসলামের নামে অরাজকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের মুখপাত্র মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার।তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম নাম ধারণ করে একটি চিহ্নিত উগ্রগোষ্ঠী বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে ও বিভিন্ন অজুহাতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিবর্তে জনগণকে চরম দুর্ভোগের মুখে ফেলে দিচ্ছে। হাটহাজারী ভূমি অফিসে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষের সম্পদের দলিল-পত্র ধ্বংস করেছে। কোনভাবেই এটা বিবেকসম্পন্ন এবং ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। ইসলামী আন্দোলনের নামে কেন জাতীয় সম্পদ ট্রেন, বাস, সরকারি স্থাপনা পোড়ানোর মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে? ইসলাম এটা সমর্থন করে না।তিনি আরো বলেন, সরকারের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কওমী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী জনগোষ্ঠী বরাবরের মতোই তাদের উগ্রবাদী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। খোদ সরকারপক্ষ তাদের নিয়মিত পৃষ্ঠাপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রত্যেক ইস্যুতেই তারা অসৎ কর্মকাণ্ড জারি রাখার অপপ্রয়াস পাচ্ছে। চিহ্নিত আসামিদের বারবার আইনের আওতায় না এনে ছাড় দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দিচ্ছে প্রশাসন। ইসলামের হেফাজতের সাইনবোর্ডের আড়ালে এমন জঘন্য ধ্বংসলীলাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। দেশের আইন কি সবার জন্য সমান নয়? কেন তাদের কোনও অপরাধের বিচার হয় না?মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, হেফাজত সবসময় সরকারের আনুকূল্য পেয়েছে। ফলে তারা বারবার বিশৃঙ্খল পথই বেছে নিয়েছে, যাতে সরকারকে জিম্মি করে আরো বেশি সুবিধা আদায় করা যায়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার প্রশ্রয় দিয়ে তাদের মাথায় তুলেছে। একথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিল কওমী-ওহাবী-হেফাজতিরাই। তারা রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর মতো মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল।তিনি বলেন, ইসলামের নামে কিছু চিহ্নিত উগ্রবাদীগোষ্ঠীর উদেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আজ শুধু ইসলামকেই কলঙ্কিত করছে না, অধিকন্তু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদেরকেও সন্ত্রাসী-জঙ্গি হিসেবে রূপায়িত করার চক্রান্তকে ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথ সুগম করে দিচ্ছে। ইসলামে মানেই শান্তি। আসসালামু আলাইকুম- আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক, এটাই যে ধর্মের অভিবাদন, সে ধর্মের হেফাজতের নামে দেশটাতে অশান্তি-বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা যে প্রকৃত ইসলামের ধারে-পাশেও নেই, সেটা জনগণ এবং সরকার নির্বিশেষে সব মহলকে বুঝতে হবে।হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের রিসোর্ট কেলেঙ্কারির বিষয়ে মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, হেফাজতে ইসলাম বারবার মাওলানা ও মাদরাসাকে বিতর্কিত করেছে। প্রথম স্ত্রী কোনও অভিযোগ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশ এর মহাসচিব সৈয়দ মসিহুদ্দৌল্লাহ, কার্যকরী কমিটির সদস্য মাওলানা এম এ মতিন, অধ্যক্ষ স উ ম আব্দুস সামাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা শাহ খলিলুর রহমান নেজামী প্রমুখ।

আরও খবর

🔝