gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ১৩১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার

যশোরে শিক্ষা বিভাগে নিরব বিপ্লব
প্রকাশ : বুধবার, ৩ জানুয়ারি , ২০২৪, ১১:৪২:০০ পিএম , আপডেট : বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:৩৬:১২ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
GK_2024-01-03_65959cd0da13b.jpeg

গত পাঁচ বছরে যশোর শিক্ষা বিভাগে নিরব বিপ্লব ঘটে গেছে। স্কুল ভবনসহ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছে ১শ’ ৩১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এই বিশাল অংকের উন্নয়ন কাজ ঘটে গেলেও এগুলোর কোনো প্রচারণা সামনে আসেনি। নিরবেই ঘটে গেছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন।
শিক্ষা বিভাগ বলছে, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেলসহ জাতীয় পর্যায়ে এতো বড় বড় মেগা প্রকল্প বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করেছে, যেসব উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণার আলোকে যশোরের শিক্ষা বিভাগের যে বিশাল উন্নয়ন হয়েছে তা চাপা পড়ে গেছে। তা ছাড়াও যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের আন্তরিকতায় এই বিশাল উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও তিনি প্রচার বিমূখ মানুষ। যে কারণে সব উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচারণায় আসেনি।
শিক্ষা বিভাগ বলছে, বর্তমান সরকার দেশে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তা দেশে-বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু সরকার তার কতোকটা যেনো নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবেই শিক্ষা বিভাগে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। যা সেইভাবে প্রচারণায় আসেনি। এর অংশ হিসেবে যশোরের ছয়টি সংসদীয় এলাকার মধ্যে যশোর-৩ সদর আসনে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেসব উন্নয়নের ফল জনগণ প্রত্যক্ষভাবে ভোগ করছে। অনেক স্থানে চাঁচের বেড়া ও টিনের ছাপড়ার স্থলে এখন চার তলা একাডেমিক ভবন রয়েছে, যা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহার করছে। স্বস্তি এসেছে অভিভাবকমহলে।
শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে যশোর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জোনাল অফিস এবং ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ জোনাল অফিসের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলা সম্প্রসারণ কাজ ছাড়াও যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যাপীঠে ব্যাপক সংখ্যায় ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এই ব্যাপক উন্নয়ন কাজ এখন শুধু দৃশ্যমানই নয়, রীতিমত শ্রেণিকক্ষে পাঠ দান কর্মসূচি চলছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা উপকার ভোগ করছে।
শিক্ষা বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, ২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঝাউদিয়া মুন্সী মেহেরুল্লাহ একাডেমি ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এম এস টি পি বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মোমিননগর মাধ্যমিক বিদ্রালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রগতি বালিকা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে খরিচাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শফিয়ার রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্যামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুনহাট পাবলিক কলেজের চার তলা ভবন নির্মাণ, ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কলেজের চার তলা ভবন নির্মাণ, ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপশহর মহিলা কলেজের চার তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ, ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আমদাবাদ কলেজের চার তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ, ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওসমানপুর আলিম মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ কাজ চলমান, ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের ৪তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাতুড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হামিদপুর আলহেলা কলেজের চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ, যশোর পিটিআই ক্যাম্পাসে ৯ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম নির্মাণ, ৩ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সরকারি এম এম কলেজের একাডেমিক কাম এক্সমিনেশন ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জিরাট আলিম মাদ্রাসার চার তলা ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তপসিডাঙ্গা মাদ্রাসার ভবন নির্মাণসহ অসংখ্য শিক্ষাবান্ধব আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যা এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থায় দারুণ প্রভাব ফেলেছে।
যশোর শিক্ষা বিভাগে এমন নজিরবিহীন উন্নয়ন ও সংস্কার কর্মকান্ড নিয়ে যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন এবং জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছেন যশোরের উন্নয়ন করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আমার যশোর-৩ সদর আসনের ভোটারদের মান রাখতে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব সেক্টরে উন্নয়ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে শিক্ষা সেক্টরে যে উন্নয়ন ঘটিয়েছি, তা মহান স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ উন্নয়ন। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁচের বেড়ার মধ্যে কিংবা টিনের ছাপড়ার মধ্যে বসে ছেলে মেয়েরা ক্লাস করতো। সেই তারাই এখন চার তলা ভবনে বসে ক্লাস করে। এমন উন্নয়নের কথা আমি কখনো প্রচারণায় আনার প্রয়োজন মনে করিনা। কারণ, আমি মনে করি এমনতর উন্নয়ন করাই আমার কাজ। ওই সব শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবং শিক্ষকগণ এ উন্নয়নের সরাসরি উপকারভোগী। আমার বিশ্বাস, তারা এসব ভবন নির্মাণের কথা মনে রাখবে এবং নৌকাতেই ভোট দেবে।

আরও খবর

🔝