
সারাদেশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ‘ডেঙ্গু আক্রান্তদের সাহায্যার্থে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘কায়ান্টম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
উত্তরা থেকে নয়াপল্টনে আসতে তার প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লেগেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা এই সরকারের আরেকটা বড় ব্যর্থতা। ঢাকা মহানগর শুধু নয়, সারাদেশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের যে ব্যর্থতা, এটা আরো বড় রকমের ব্যর্থতা। কিছু আগে জেনেভাতে মানবাধিকারের বিষয় নিয়ে কনফারেন্স হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে নির্যাতন বিরোধী একটি কনভেনশন হয়েছে। সেখানে প্রায় ২০ আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছে থেকে তারা মানবাধিকারের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল। আর এই সরকার প্রায় ১২ বছর ক্ষমতায় আছে। কিন্তু তারা কোন জবাবদিহিতা করেনি। ১০-১২ বছর পর জাতিসংঘের সেই কমিটি নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশকে ডেকেছে এবং জানতে চেয়েছে- বাংলাদেশে যে নির্যাতন হয়, সেই সম্পর্কে সরকারের বক্তব্যে কি? কিন্তু অবলীলায় আমাদের আইনমন্ত্রী, যিনি দায়িত্বে আছেন- তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশে কোন গুম হয় না। গুমের ঘটনা তার জানা নেই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য ফখরুল বলেন, গত দুই-তিন আগের ঘটনা। পত্রিকায় আমরা দেখেছি, আপনাদের সিনিয়র সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান গুম হয়েছেন। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। আমাদের ইলিয়াস আলী এবং চৌধুরী আলম গুম হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদেরকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আমাদের প্রায় ৫ শত নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে আমাদের ঢাকা কলেজের ছাত্র নেতা গুম হয়ে গেয়েছিল। পরে তাকে গোয়েন্দা অফিসে পাওয়া গেছে। সেখানে অংসখ্য ছেলেরা আছে। যাদেরকে ১৫-২০ দিন এবং এক মাস ধরে রাখা হয়েছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গতকালও শুধু ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ১৭৬০ ভর্তি হয়েছে- পত্রিকার প্রকাশিত এই সংবাদ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের ওপরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই মেয়র কি বলেছেন, সেটা আমি রিপিট করতে চাই না। আপনারা সবাই জানেন। আসলে এদের কোন লজ্জা, শরম এবং হায়া নেই। যাকে এক কথায় বলে বেহায়া।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।